অ্যালানুশ তেরিয়ান

ইরানী জ্যোতির্বিদ

অ্যালানুশ তেরিয়ান (আর্মেনীয়: Ալենուշ Տէրեան; ফার্সি: آلنوش طریان; also: آلنوش تریان; ৯ নভেম্বর ১৯২১ - মার্চ ৪, ২০১১), একজন ইরানি-আর্মেনিয়ান জ্যোতির্বিদ এবং পদার্থবিদ ছিলেন এবং তাকে 'আধুনিক ইরানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের জননী' বলা হয়।[১]

অ্যালানুশ তেরিয়ান
অ্যালানুশ তেরিয়ান
জন্ম(১৯২১-১১-০৯)৯ নভেম্বর ১৯২১
মৃত্যু৪ মার্চ ২০১১(2011-03-04) (বয়স ৮৯)
সমাধিদৌলাব কবরস্থান
জাতীয়তাইরানী-আর্মেনিয়
মাতৃশিক্ষায়তনতেহরান বিশ্ববিদ্যালয়, সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণআধুনিক ইরানি জ্যোতির্বিদ্যার জননী
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাকমলোদ্দিন জেনাব

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

তেরিয়ান ইরানের তেহরানে এক আর্মেনিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। [২] তার বাবা আর্টো ছিলেন একজন মঞ্চ পরিচালক, কবি এবং অনুবাদক। তিনি শাহনেমকে ফার্সী থেকে আর্মেনিয়ান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। [৩][৪] তার মা, ভারতু, একজন মঞ্চ অভিনেত্রী এবং পরিচালক ছিলেন।[৫]

জীবনপঞ্জি

সম্পাদনা

১৯৪৭ সালে, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগারে কর্মজীবন শুরু করেন এবং সেই বছরেই পরীক্ষাগার পরিচালনার প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন।

ফ্রান্সে পড়াশোনার জন্য তিনি বৃত্তির জন্য ডঃ হেসাবী কাছে সই করাতে যান তবে তিনি তা গ্রহণ করেননি, তার মতে যে কোনও মহিলার পক্ষে এর থেকে বেশি পড়াশুনোর দরকার নেই,[৩] অবশেষ তিনি তার বাবার আর্থিক সহায়তায় ফ্রান্সে যেতে পারেন, যেখানে ১৯৫৬ সালে তিনি সরবনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ুমণ্ডল পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পরে তিনি ইরানে ফিরে আসেন এবং তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপবিদ্যায়িক বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হন। পরবর্তীতে তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে সৌর পদার্থবিজ্ঞানে কাজ করেছিলেন, জার্মান সরকার কর্তৃক তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল, তার মাধ্যমে চার মাস সময়কালে তিনি কাজ করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে, ডঃ তেরিয়ান ইরানের পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম মহিলা অধ্যাপক হন।

১৯৬৬ সালে, অধ্যাপক তেরিয়ান তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফিজিক্স কমিটির সদস্য হন। ১৯৬৯ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যয়নের প্রধান নির্বাচিত হন এবং সৌর পর্যবেক্ষণে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। অধ্যাপক টেরিয়ান ১৯৭৯ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি তেহরানে থাকতেন।[৬]

অধ্যাপক তেরিয়ান তেহরানে নবম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি ইরানি সংসদ সদস্য এবং শতাধিক ইরানি আর্মেনীয় উপস্থিত ছিলেন।[৭]

২০১১ সালের ৪ মার্চ, অধ্যাপক তেরিয়ান ৯০ বছর বয়সে মারা যান।[৮]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "پیکر 'مادر نجوم ایران' تشییع شد"। BBC Persian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-০৯ 
  2. Interview with Alenoush Terian, Farsnews Wire Service ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে.
  3. "An interview with Alenoush Terian"www.farheekhtegan.ir (ফার্সি ভাষায়)। ২০১২-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Janet D. Lazarian (২০০৩)। Encyclopedia of Iranian Armenians। Tehran: Hirmand Publisher। পৃষ্ঠা 426। আইএসবিএন 964-6974-50-3 
  5. Janet D. Lazarian (২০০৩)। Encyclopedia of Iranian Armenians। Tehran: Hirmand Publisher। পৃষ্ঠা 427। আইএসবিএন 964-6974-50-3 
  6. Alenoush Terian's Page in the Persian Wiki How.
  7. The Mother of the Iranian Astronomy honoured ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ নভেম্বর ২০১০ তারিখে.
  8. Iran’s First Female Astronomer Alenoush Terian Passes Away ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১১ তারিখে, The Armenian Weekly (March 5, 2011)
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ২০২৪ কোপা আমেরিকারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরচন্দ্রবোড়াআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবাংলাদেশতরুণ রাম ফুকনকোপা আমেরিকাউয়েফা ইউরো ২০২৪কাজী নজরুল ইসলামশেখ মুজিবুর রহমানদ্রৌপদী মুর্মুএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)মিয়া খলিফাকল্কি ২৮৯৮ এডিসরকারলালসালু (উপন্যাস)রাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)শাকিব খানভূমি পরিমাপব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলছয় দফা আন্দোলনসিরাজউদ্দৌলাভারতফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাবাংলাদেশ রেলওয়েইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনআবহাওয়াবাংলা ভাষাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরবাংলাদেশের সাপের তালিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধপ্রভিডেন্স স্টেডিয়াম