কেন জেমস

নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার

কেনেথ সেসিল জেমস (ইংরেজি: Ken James; জন্ম: ১২ মার্চ, ১৯০৪ - মৃত্যু: ২১ আগস্ট, ১৯৭৬) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করতেন কেন জেমস

কেন জেমস
১৯২৭ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে কেন জেমস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কেনেথ সেসিল জেমস
জন্ম(১৯০৪-০৩-১২)১২ মার্চ ১৯০৪
ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু২১ আগস্ট ১৯৭৬(1976-08-21) (বয়স ৭২)
পালমারস্টোন নর্থ, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১০ জানুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩১ মার্চ ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টএফসি
ম্যাচ সংখ্যা১১২০৫
রানের সংখ্যা৫২৬৪১৩
ব্যাটিং গড়৪.৭২২২.১৯
১০০/৫০০/০৭/২৩
সর্বোচ্চ রান১৪১০৯*
বল করেছে৩৫
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১১/৫৩১১/১১২
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ মে ২০১৯

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯২৩-২৪ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত কেন জেমসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। উইকেট-রক্ষক ও কার্যকরী ব্যাটসম্যান ছিলেন কেন জেমস। ১৯২৩ সালে ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন।

১৯২৭ সালে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। শুরুতে তাকে টম লরি’র যোগ্য সহচর হিসেবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, নিজগুণে তিনি দ্রুত উইকেট-রক্ষক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। এ সফরে তিনি ৮৫টি ডিসমিসালের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। এ সফরের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সর্বাপেক্ষা সফলতম বোলার বিল মেরিটের স্পিন যথার্থভাবে বুঝে প্রভূতঃ ভূমিকা রেখেছিলেন।[১] তবে, এ সফরে কোন টেস্ট খেলার আয়োজন করা হয়নি।

১৯৩২-৩৩ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ডে দূর্দান্ত খেলেন। ৪৪.৮৩ গড়ে ২৬৯ রান তুলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মর্যাদা পান।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১১ টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছিলেন কেন জেমস। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে সন্দেহাতীতভাবে প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন কেন জেমস। ১০ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। একই দলের বিপক্ষে অকল্যান্ডে ৩১ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।

অভিষেক টেস্টে ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে মরিস অলমের বলে টিচ কর্নফোর্ডের গ্লাভসে ১ বল মোকাবেলান্তে শূন্য রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে স্ট্যান ওয়ার্থিংটনের এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত হন আবারও শূন্য রানে। ঐ খেলায় তার দল আট উইকেটে পরাজিত হয়েছিল।

১৯৩৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে কেন জেমস

১৯৩১ সালে ইংল্যান্ড গমনে আবারও এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে নিজ দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার পর পরবর্তী মৌসুমে পুনরায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন তিনি। সর্বমোট ১১ টেস্টে ১৬টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছিলেন। তবে, ব্যাট হাতে বেশ দূর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন। সর্বমোট ৫২ রান করতে পেরেছিলেন কেন জেমস।

কাউন্টি ক্রিকেট

সম্পাদনা

ইংল্যান্ডে চলে যান ও নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে কাউন্টি খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত নিয়মিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। অত্যন্ত দূর্বলমানের কাউন্টি দল হিসেবে মে, ১৯৩৫ সাল থেকে পরবর্তী চার বছর কোন খেলায় জয়লাভে সক্ষমতা দেখায়নি। ঐ দলটিতে শুধুমাত্র উইকেট-রক্ষক হিসেবেই তিনি সম্যক ভূমিকা রাখেননি; বরং, ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ১৯৩৮ সালে দুই সেঞ্চুরি সহযোগে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তিনি।[৩]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড এয়ার ফোর্সে যোগ দেন।[১] নিউজিল্যান্ডে ফিরে তিনি আরও একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। নিজস্ব ৪৩তম জন্মদিনের পূর্বে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ডে ওয়েলিংটনের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে অকল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। এরপর হক কাপে হাট ভ্যালির পক্ষে কয়েকটি খেলায়ও অংশগ্রহণ ছিল তার। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে তার দল প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ে সক্ষম হয়।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর অতিথিশালা পরিচালনা করেন। ২১ আগস্ট, ১৯৭৬ তারিখে ৭২ বছর বয়সে মানাওয়াতোর পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় কেন জেমসের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Wisden 1977, p. 1044.
  2. "Batting and Fielding in Plunket Shield 1932-33"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "First-class batting and fielding in each season by Ken James"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৬ 
  4. "Wanganui v Hutt Valley 1948-49"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধান২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ২০২৪ কোপা আমেরিকাতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকোপা আমেরিকালালসালু (উপন্যাস)ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসিরাজউদ্দৌলাআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলশেখ মুজিবুর রহমানবাংলাদেশআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকাজী নজরুল ইসলামবিধানচন্দ্র রায়বিলাসীশ্রীকান্ত জিচকরবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধছয় দফা আন্দোলনএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)২০২৪ কোপা আমেরিকা গ্রুপ এদক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলদ্রৌপদী মুর্মুবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাসুন্দরবনচন্দ্রবোড়াকল্কি ২৮৯৮ এডিমাইকেল মধুসূদন দত্তরাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)লালনভূমি পরিমাপসাইবার অপরাধফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকাক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকামিয়া খলিফাপলাশীর যুদ্ধ