ক্যালসিয়াম অক্সাইড

রাসায়নিক যৌগ

ক্যালসিয়াম অক্সাইড সাধারণত চুন বা কুইক লাইম নামে পরিচিত, বহুল ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক যৌগ। কক্ষতাপমাত্রায় এটি সাদা, ক্ষারীয়, স্ফটিকাকার কঠিন পদার্থ। ক্যালসিয়াম অক্সাইড নির্মাণ সামগ্রী যেমন সিমেন্টের সাথে মিশ্রিত করলে কোনোরূপ বিক্রিয়া করে না এজন্য একে ফ্রি লাইম বলা হয়।[৫] ক্যালসিয়াম অক্সাইড তুলনামূলকভাবে সস্তা।

ক্যালসিয়াম অক্সাইড
ক্যালসিয়াম অক্সাইড
নামসমূহ
ইউপ্যাক নাম
ক্যালসিয়াম অক্সাইড
অন্যান্য নাম
কুইক লাইম, চুন
শনাক্তকারী
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
সিএইচইএমবিএল
কেমস্পাইডার
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড১০০.০১৩.৭৬৩
ইসি-নম্বর
ই নম্বরE৫২৯ (অম্লতা নিয়ন্ত্রক, ...)
আরটিইসিএস নম্বর
  • EW3100000
ইউএনআইআই
ইউএন নম্বর1910
  • InChI=1/Ca.O/rCaO/c1-2
    চাবি: ODINCKMPIJJUCX-BFMVISLHAU
বৈশিষ্ট্য
CaO
আণবিক ভর56.0774 g/mol
বর্ণসাদা থেকে ধূসর হলুদ/বাদামী রঙ
গন্ধগন্ধহীন
ঘনত্ব৩.৩৪ g/cm[১]
গলনাঙ্ক ২,৬১৩ °সে (৪,৭৩৫ °ফা; ২,৮৮৬ K)[১]
স্ফুটনাঙ্ক ৩,৮৫০ °সে (৬,৯৬০ °ফা; ৪,১২০ K) (১০০ hPa)[২]
ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড গঠনে ক্ষীণভাবে প্রতিক্রিয়া করে
দ্রাব্যতা in মিথানলঅদ্রবণীয় (ডাই ইথাইল ইথার এবং n-অক্টানলে অদ্রবনীয়)
অম্লতা (pKa)12.8
গঠন
স্ফটিক গঠনNaCl
তাপ রসায়নবিদ্যা
স্ট্যন্ডার্ড মোলার
এন্ট্রোফি
এস২৯৮
৪০ J·mol−১·K−১[৩]
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfHo২৯৮−৬৩৫ kJ·mol−১[৩]
ঔষধসংক্রান্ত
ATC code
ঝুঁকি প্রবণতা
নিরাপত্তা তথ্য শীটHazard.com
এনএফপিএ ৭০৪
ফ্ল্যাশ পয়েন্টঅদাহ্য [৪]
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য অনাবৃতকরণ সীমা (NIOSH):
TWA ৫ mg/m[৪]
TWA ২ mg/m[৪]
২৫ mg/m[৪]
সম্পর্কিত যৌগ
ক্যালসিয়াম সালফাইড]]
ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড
বেরিলিয়াম অক্সাইড
ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড
স্ট্রনটিয়াম অক্সাইড
বেরিয়াম অক্সাইড
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।
তথ্যছক তথ্যসূত্র

প্রস্তুতি

সম্পাদনা

সাধারণত চুনাপাথর বা ঝিনুকের তাপীয় বিয়োজনে ক্যালসিয়াম অক্সাইড পাওয়া যায়। অর্থাৎ ঝিনুক বা চুনাপাথরকে দহন করলে চুন পাওয়া যায়। চুনাপাথর বা ঝিনুকের মধ্যে ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3) থাকে। ৮২৫ °সে (১,৫১৭ °ফা),[৬] এর বেশি তাপমাত্রায় দহন করে চুন তৈরীর প্রক্রিয়াকে ক্যালসিনেশান বা চুন পোড়ানো বলা হয়। দহনে চুন এবং এক অণু কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

CaCO3(s) → CaO(s) + CO2(g)

উৎপন্ন ক্যালসিয়াম অক্সাইড অস্থিতিশীল, বাতাসের CO2 সাথে বিক্রিয়া করে এক সময়ে এটা ক্যালসিয়াম কার্বনেট তৈরী করে। এজন্য উৎপন্ন চুনকে পানির সাথে মিশিয়ে রাখা হয়।

চীন বিশ্বের সর্বাধিক চুন উৎপাদনকারী দেশ। বাৎসরিক চুন উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়।[৭]

ব্যবহার

সম্পাদনা
  • সিমেন্ট: ক্যালসিয়াম অক্সাইড সিমেন্ট তৈরীর একটি প্রধান উপাদান।
  • বায়োডিজেল উৎপাদনে এটি ক্ষারক হিসেবে কাজ করে।[৮][৯]
  • কাগজঃ ক্রাফট পাল্প মিলে সোডিয়াম কার্বনেট থেকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড রিজেনারেট করতে ক্যালসিয়াম অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি

সম্পাদনা

চুন পানিতে খুব সহজে দ্রবীভূত হয়ে যায় বিধায় চামড়া বা চোখের সংস্পর্শে এলে অথবা এই পানি পান করলে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। এটার সেবনে কাশি, গলা চুলকানো, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। যদিও ক্যালসিয়াম অক্সাইডকে অগ্নি ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না কিন্তু পানির সাথে ক্যালসিয়াম অক্সাইডের বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় যা কোন দাহ্য বস্তুতে আগুন ধরাতে সক্ষম।[১০]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: