নেরোকা ফুটবল ক্লাব
নেরোকা ফুটবল ক্লাব (এছাড়াও সংক্ষেপে নেরোকা এফসি নামে পরিচিত) হল মণিপুরের ইম্ফল শহরের একটি ফুটবল ক্লাব, যারা ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ ফুটবল লিগ আই-লিগে অংশগ্রহণ করে থাকে।[৩][৪] আই-লিগ দ্বিতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতায় তারা প্রথম অংশ নেয় ২০১৫ সালে।[৫] ২০১৬–১৭ ২য় বিভাগ জিতে তারা পরবর্তী আই-লিগ মরসুমে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[৬] তারা ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র ক্লাব। তারা মণিপুর রাজ্য লিগেও নিয়মিত অংশ নেয়।[৭][৮][৯]
![]() | |||
পূর্ণ নাম | নর্থ ইস্টার্ন রি-অর্গানাইজিং কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল ক্লাব[১] | ||
---|---|---|---|
ডাকনাম | কমলা ব্রিগেড[২] | ||
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৬৫ | ||
মাঠ | খুমান লাম্পাক মেইন স্টেডিয়াম | ||
ধারণক্ষমতা | ৩৫,২৮৫ | ||
মালিক | নর্থ ইস্টার্ন রি-অর্গানাইজিং কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন (নেরোকা) | ||
সভাপতি | অরুণ কুমার থাংজাম | ||
প্রধান কোচ | খগেন সিং | ||
লিগ | মণিপুর রাজ্য লিগ আই-লিগ | ||
২০২০–২১ আই-লিগ | ১১ দলের মধ্যে ১১তম | ||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | ||
জার্সি ও প্রতীক
সম্পাদনাজার্সি মূলত কমলা ও সবুজ রঙের,[১০] তাই এই দলের ডাকনাম কমলা ব্রিগেড।
ক্লাবের প্রতীকে মণিপুর রাজ্যের মানচিত্র ও নোঙরযুক্ত নৌকা দেখা যায়।[১১]
স্টেডিয়াম
সম্পাদনাইম্ফলের খুমান লাম্পাক মেইন স্টেডিয়াম হল নেরোকার ঘরের মাঠ। এখানে তারা আই-লিগ ও মণিপুর রাজ্য লিগ এই দুই প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলি খেলে থাকে।[১২][১৩]
১৯৯৯ সাল থেকে এই স্টেডিয়ামের মালিক নিখিল মণিপুর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৫,২৮৫। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭-এ নেরোকা এই মাঠে প্রথম তাদের ঘরের ম্যাচ খেলে, যাতে প্রতিপক্ষ ছিল চেন্নাই সিটি এফসি।[১৪]
সমর্থন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা
সম্পাদনাসমর্থন
সম্পাদনা২০১৭-১৮ আই-লিগে প্রথম ও ২০১৮-১৯ আই-লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সমর্থক নেরোকার খেলা দেখতে উপস্থিত হয়েছিল।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
সম্পাদনাইম্ফল ডার্বিতে নেরোকার প্রতিপক্ষ ট্রাউ এফসি, যারা ইম্ফল শহরেরই অপর একটি ক্লাব।[১৫][১৬][১৭] উভয় দলই ইম্ফল শহরের প্রধান ক্লাব ও পেশাদার লিগে খেলা থাকা অন্যতম ক্লাব।
আই-লিগের উত্তর-পূর্ব ডার্বিতে নেরোকা ট্রাউয়ের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ হিসেবে আইজল এফসির বিরুদ্ধে খেলে থাকে।[১৮]
দলীয় রেকর্ড
সম্পাদনামরসুম | ডিভিশন | দলসংখ্যা | অব. | গড় দর্শক | ফেডারেশন কাপ/সুপার কাপ | ডুরান্ড কাপ | এসিএল | এএফসি কাপ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
২০১৫–১৬ | আই-লিগ ২য় | ১০ | ৩ | – | খেলেনি | |||
২০১৬–১৭ | ১২ | ১ | ৮,৪৩৮ | খেলেনি | রানার্স-আপ | খেলেনি | ||
২০১৭–১৮ | আই-লিগ | ১০ | ২ | ২১,৩৮২ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | খেলেনি | ||
২০১৮–১৯ | ১১ | ৬ | ১৯,১৩৯ | খেলেনি | ||||
২০১৯–২০ | ১১ | ৯ | ১৩,২০২ | |||||
২০২০–২১ | ১১ | ১১ |
সর্বোপরি রেকর্ড
সম্পাদনাসর্বোচ্চ গোলদাতা
সম্পাদনাবর্তমান কর্মকর্তা
সম্পাদনা- ১ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
পজিশন | নাম |
---|---|
প্রধান কোচ | ![]() |
সহকারী কোচ | ![]() |
সেক্রেটারি | ![]() |
গোলকিপিং কোচ | ![]() |
দলীয় ম্যানেজার | ![]() |
ফিজিও | ![]() |
কিট ম্যানেজার | ![]() |
কোচিং পরিসংখ্যান
সম্পাদনা- ৭ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
কোচ | জাতীয়তা | শুরু | শেষ | খে | জ | ড্র | হা | স্বগো | বিগো | জয়% |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
গিফট রাইখান | ![]() | ১ জুলাই ২০১৫[২০] | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ | ৪৪ | ২৬ | ১০ | ৮ | ৬১ | ৩১ | ৫৯.০৯ |
![]() | ৭ জুন ২০১৮[২১] | ১১ মার্চ ২০১৯[২২] | ২০ | ৭ | ৫ | ৮ | ২৭ | ২৬ | ৩৫.০০ | |
![]() | ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯[২৩] | ৩১ মে ২০২১ | ৩১ | ৭ | ৬ | ১৮ | ৪১ | ৫৭ | ২২.৫৮ | |
![]() | ৫ জুলাই ২০২১[২৪] | বর্তমান | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৫ | ২ | ৬৬.৬৭ |
সম্মাননা
সম্পাদনালিগ
সম্পাদনা- আই-লিগ
- রানার্স-আপ (১): ২০১৭–১৮[২৫]
- আই-লিগ দ্বিতীয় বিভাগ
- চ্যাম্পিয়ন (১): ২০১৬–১৭[২৬]
- তৃতীয় স্থান(১): ২০১৫–১৬
- মণিপুর রাজ্য লিগ
কাপ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে
- তথ্যাবলী, গ্লোবাল স্পোর্টস আর্কাইভ
- প্রাতিষ্ঠানিক পেইজ, ফেসবুক
- দলের তথ্য, বিসকার.কম