ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে অবস্থিত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ। ২০১০ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধিভুক্ত ও এটি চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
ফরিদপুর প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়
ধরনপাবলিক প্রকৌশল কলেজ
স্থাপিত২০১০
অধ্যক্ষপ্রফেসর ড.মিজানুর রহমান [১]
ঠিকানা
বায়তুল আমান, ফরিদপুর, বাংলাদেশ
, ,
শিক্ষাঙ্গনআধাশহুরে (৭.৫ একর)
সংক্ষিপ্ত নামFEC
অধিভুক্তিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটwww.fec.ac.bd
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৫৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ফরিদপুর শহরতলীর বায়তুল আমান এলাকায়.৭.৫ একর জমির উপর ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ও ২০১০ সালের দিকে কাজ শেষ হয়।[২] ঐ বছরই শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করার থাকলেও বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগের জটিলতার কারণে পরবর্তী তিন বছরে কর্তৃপক্ষ প্রকৌশল কলেজটি চালু করতে পারেনি। অবশেষে ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে সালে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তড়িৎ প্রকৌশল, পুরকৌশলকম্পিউটার প্রকৌশল (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল) এই ৩টি প্রযুক্তি বিভাগে পড়ানোর কথা থাকলেও, প্রাথমিক ভাবে তড়িৎ প্রকৌশল ও পুরকৌশল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয় ও এবং প্রথম বছর ৬০ জন করে দুই বিভাগে ১২০ জন ভর্তি করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০১৪-১৫ সেশনে ১২০ জন ভর্তি করা হয়। ২০১৫-১৬ও ২০৬-১৭ সেশনে ১২০ ভর্তি করানো হয়।

ক্যাম্পাস

সম্পাদনা
প্যানোরমা দৃশ্যে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ফরিদপুর শহর থেকে ১.২০ কি.মি দূরে অবস্থিত। ৫ একরের উপর নির্মিত এই কলেজ ক্যাম্পাসে ১০টি প্রাতিষ্ঠানিক ভবন হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদের জন্য ছাত্রাবাস ও ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী নিবাস রয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে ব্যাংক, ডাকঘর, ক্যাফেটারিয়া, গ্রন্থাগার, মসজিদ, বিজ্ঞান গবেষণা ল্যাব সহ বিভিন্ন কা্লচা্রাল ক্লাব। এছাড়াও ৪টি কম্পিউটার ল্যাব সহ সিভিল, ইইই ও সিএসই বিভাগের জন্য আলাদা (প্রতিটি) ৫ তলা ভবন সংবলিত আধুনিক ল্যাব প্রভৃতি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি বিল্লিং এ্রর ৪র্থ ফ্লোরে ক্লাসরুম ও দ্বিতীয় তলায় অফিস। বাকী ৩টি ফ্লোর ল্যাব ও গবেষনাগার।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএর ভিত্তিতে এ কলেজে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারে ও ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।[৩] একাডেমিক কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে ক্রেডিট পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। এই প্রকৌশল কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। এখানে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত"। ১৩ মার্চ ২০১৫। ১৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫ 
  2. "উদ্বোধনের অপেক্ষায় ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ"দৈনিক যুগান্তর। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫ 
  3. "ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জিপিএ'র ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ কোপা আমেরিকাবিশেষ:অনুসন্ধানবিধানচন্দ্র রায়তুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকোপা আমেরিকাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলদক্ষযজ্ঞকাজী নজরুল ইসলামসিরাজউদ্দৌলামীর জাফর আলী খানবাংলাদেশশেখ মুজিবুর রহমানসাঁওতাল বিদ্রোহফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংসরকারলালসালু (উপন্যাস)বিরাট কোহলিব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলছয় দফা আন্দোলন২০২৪ কোপা আমেরিকা গ্রুপ এবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসিধু কানুএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)উয়েফা ইউরো ২০২৪বাংলা ভাষা আন্দোলনআবহাওয়ারোহিত শর্মারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)চন্দ্রবোড়াকল্কি ২৮৯৮ এডিআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতামিয়া খলিফাপলাশীর যুদ্ধসাইবার অপরাধপহেলা বৈশাখ