বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব বাংলার উদ্ভবের কিছু দিন পর গঠিত হয়।[২] এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
চেয়ারপার্সনসাদ্দাম হোসেন[১]
সাধারণ সম্পাদকশেখ ওয়ালী আসিফ ইনান [১]
প্রতিষ্ঠাতাশেখ মুজিবুর রহমান
প্রতিষ্ঠা৪ জানুয়ারি ১৯৪৮; ৭৬ বছর আগে (1948-01-04)
পূর্ববর্তীপূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ
সদর দপ্তর২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা
ভাবাদর্শবাঙালি জাতীয়তাবাদ
স্লোগানশিক্ষা, শান্তি, প্রগতি
দলীয় পতাকা
ওয়েবসাইট
https://bsl.org.bd

ইতিহাস

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান[৩] প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ[৪] এবং এই সংগঠনের প্রথম অফিস ছিল ১৫০ মোগলটুলীতে। এই ১৫০ মোগলটুলীই ছিল মুসলিম লীগেরও অফিস। মুসলিম লীগের কিছু বাঙালি নেতা যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্র লীগ প্রতিষ্ঠা করলেন তখন মুসলিম লীগের অন্যান্য নেতারা তা মেনে নিতে পারেননি। শুরু হয়ে গেল এক ধরনের ছোটখাটো গৃহযুদ্ধ। তাঁরা দফায় দফায় আক্রমণ চালাতে লাগল এই অফিসটি দখল করতে। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাদের, বিশেষ করে শওকত আলীর বলিষ্ঠতার কারণে তারা অফিসটি দখল করতে সক্ষম হয়নি। নতুন অফিসের জন্য টেবিল, চেয়ার, আলমারি, সবকিছুর বন্দোবস্ত করেছিলেন তরুণ ছাত্র নেতা শওকত আলী

১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি তারিখে ফজলুল হক মুসলিম হলের এসেম্বলি হলে এক সভা ডাকা হল, সেখানে স্থির হল একটা ছাত্র প্রতিষ্ঠান করা হবে যার নাম হবে ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’।…প্রতিষ্ঠানের অফিস করলাম ১৫০ নম্বর মোগলটুলী। মুসলিম লীগ নেতারা কয়েকবার চেষ্টা করেছেন এই অফিসটা দখল করতে, কিন্তু শওকত মিয়ার জন্য পারেন নাই। আমরা ‘মুসলিম লীগ ওয়ার্কার্স ক্যাম্প’ নাম দিয়ে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এখন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের অফিসও করা হল। শওকত মিয়া টেবিল, চেয়ার, আলমারি সকল কিছুই বন্দোবস্ত করল। তাকে না হলে, আমাদের কোন কাজই হত না তখন। আমরা যে কয়েকজন তার সাথে মোগলটুলীতে থাকতাম, আমাদের খাওয়া থাকার ভার তার উপরই ছিল। … মোগলটুলীতেই ন্যাশনাল গার্ডের অফিস করা হয়েছিল। তিনতলা বাড়ি, অনেক জায়গা ছিল। (পৃষ্ঠাঃ ৮৮, ৮৯)

— জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ৮৮, ৮৯)

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন[৫], শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে এর সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন, যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগমান হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।

১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালে বাংলার ছাত্রসমাজ সারাদেশে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে, যা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বাংলার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন, যা ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা বাংলাদেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমেদ-সহ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।

জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদান ছিল। ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী যুদ্ধে শহীদ হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা প্রশংসনীয়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। যার ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার সরকারের পতন হয় এবং গণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান হয়।

১/১১’র সময় শেখ হাসিনাসহ ছাত্র-শিক্ষক সবার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। যার ধারবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব রাজবন্দি মুক্তি পেয়ে ২০০৮ সালে একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের শুরু হয়।

২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃত্বে আসেন সদ্য বাদ পড়া সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। উক্ত কেন্দ্রীয় নেতাদ্বয়ের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে আসেন আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বে আসেন লেখক ভট্টাচার্য।[৬] পরবর্তী কাউন্সিলে তাদের নিয়মিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।[৭]

নামকরণ

অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন এটি। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামে যাত্রা শুরু এই সংগঠনটির। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে দলে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক এড়িয়ে চলতে ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে একই সাথে ছাত্রলীগের নামেও পরিবর্তন আসে, ছাত্রলীগের নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়। মুক্তিবাহিনী, মুজিব বাহিনীসহ বিভিন্ন নামে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর দলের নামেও পরিবর্তন আসে । ছাত্র লীগের নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ[৮]

বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এই সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” ও ইংরেজিতে “Bangladesh Students League”, সংক্ষেপে বাংলায় ছাত্রলীগ নামে ও ইংরেজিতে “BSL” নামে অভিহিত করা হয়। এর জাতীয় ভিক্তিতে সর্বোচ্চ কমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংক্ষেপে নির্বাহী সংসদ নামে অভিহিত হয়। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের নাম কেন্দ্রীয় কমিটি (পূর্বতন জাতীয় পরিষদ)।[৯]

ঐতিহাসিক ভূমিকা

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং এগারো দফা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।[১০] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ মুজিব বাহিনী গঠন করে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের বিজয় লাভে ভূমিকা পালন করে।

নেতৃবৃন্দের তালিকা

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। তারা জাতীয় সম্মেলন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসহ বিভিন্ন ভাবে নির্বাচিত হন। নিচের ছাত্রলীগের শুরু থেকে নেতৃবৃন্দের তালিকা দেয়া হল:[১১]

সময়কালসভাপতিসাধারণ সম্পাদকটীকা
১৯৪৮নাঈমউদ্দিন আহমেদ (আহবায়ক)[১১]
১৯৪৮-১৯৫০দবিরুল ইসলামখালেক নেওয়াজ খান
১৯৫০-১৯৫২খালেক নেওয়াজ খানকামরুজ্জামান
১৯৫২-১৯৫৩কামরুজ্জামানএম.এ ওয়াদুদ
১৯৫৩-১৯৫৭আব্দুল মোমিন তালুকদারএম. এ আউয়াল
১৯৫৭-১৯৬০রফিকুল্লাহ চৌধুরীআযহার আলী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারপ্রাপ্ত)
১৯৬০-১৯৬৩শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনশেখ ফজলুল হক মনি
১৯৬৩-১৯৬৫কে.এম ওবায়দুর রহমানসিরাজুল আলম খান
১৯৬৫-১৯৬৭সৈয়দ মাজহারুল হক বাকীআব্দুর রাজ্জাক
১৯৬৭-১৯৬৮ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীআব্দুর রাজ্জাক
১৯৬৮-১৯৬৯আব্দুর রউফ(বহিস্কৃত)খালেদ মোহাম্মদ আলী
১৯৬৯-১৯৭০তোফায়েল আহমেদআ.স.ম. আব্দুর রব
১৯৭০-১৯৭২নূরে আলম সিদ্দিকীশাহজাহান সিরাজ (বহিস্কৃত), ইসমত কাদির গামা
১৯৭২-১৯৭৩শেখ শহিদুল ইসলামএম. এ রশিদ
১৯৭৩-১৯৭৪মনিরুল হক চৌধুরীশফিউল আলম প্রধান (বহিস্কৃত), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন
১৯৭৬-১৯৭৭এম. এ আউয়াল (আহবায়ক)
১৯৭৭-১৯৮১ওবায়দুল কাদেরবাহালুল মজনুন চুন্নু
১৯৮১-১৯৮৩মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনখ.ম জাহাঙ্গীর
১৯৮৩-১৯৮৫আব্দুল মান্নানজাহাঙ্গীর কবির নানক
১৯৮৬-১৯৮৮সুলতান মোহাম্মদ মনসুরমোঃ আব্দুর রহমান
১৯৮৮-১৯৯২হাবিবুর রহমান (বহিস্কৃত), শাহে আলম (কার্যকরী)অসীম কুমার উকিল
১৯৯২-১৯৯৪মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীইকবালুর রহিম
১৯৯৪-১৯৯৮এ. কে. এম. এনামুল হক শামীমইসহাক আলী খান পান্না
১৯৯৮-২০০২বাহাদুর বেপারীঅজয় কর খোকন
২০০২-২০০৬লিয়াকত সিকদারনজরুল ইসলাম বাবু
২০০৬-২০১১মাহমুদ হাসান রিপনমাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন
২০১১-২০১৫এইচ. এম. বদিউজ্জামান সোহাগসিদ্দিকী নাজমুল আলম[১২]
২০১৫-২০১৮মো: সাইফুর রহমান সোহাগএস. এম জাকির হোসাইন[১৩]
২০১৮-২০১৯রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনগোলাম রাব্বানী[৬]
২০১৯-২০২২আল নাহিয়ান খান জয়লেখক ভট্টাচার্য[৬]
২০২২-সাদ্দাম হোসেনশেখ ওয়ালি আসিফ ইনান[১]

কার্যক্রম

ছাত্রলীগ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। ২০২০ সালে ছাত্রলীগ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।[১৪][১৫] এর মধ্যে ছিল দরিদ্র মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ,[১৬] মোবাইল ফোনে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবা, অসুস্থ মানুষের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, পবিত্র রমজানের ইফতার,[১৭] বিনা পয়সায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু ইত্যাদি। ক্যাম্পাস, মসজিদ, বাজার ও মোড়ে মোড়ে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের কষ্টের ধান যাতে মাঠেই নষ্ট না হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে বিনামূল্যে ধান কেটে দিয়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা-কর্মীগণ।[১৮][১৯]

সহিংসতা

ছাত্রলীগ তার বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ডের কারণে নানা সময় সমালোচিত হয়েছে।

আবু বকর হত্যাকাণ্ড

আবু বকর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে একদিন পর মারা যান।[২০][২১]

জুবায়ের হত্যাকাণ্ড

জুবায়ের আহমেদ ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। ২০১২ সালের ৮ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহে বিরোধীপক্ষের হামলায় আহত হয়ে একদিন পর মারা যান। এই ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। [২২]

বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ধংসাত্মক এবং আইনবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।[২৩][২৪]বাংলাদেশে এই ছাত্র সংগঠনটি দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় যখন এই সংগঠনের কিছু সদস্য বিশ্বজিৎ নামের একজন দর্জি দোকানীকে হরতাল চলাকালে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বিশ্বজিৎ সে সময় হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে।[২৫][২৬]

পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িত কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলা করা হয়। বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।[২৭]

ধর্ষণ ও লুন্ঠন

সংগঠনটি প্রায়সময় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুন, লুটপাট, যৌন সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে থাকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা দুর্ধর্ষ ক্যাডার জসিমউদ্দিন মানিক ১০০ ছাত্রীকে ধর্ষণের ‘সেঞ্চুরি উৎসব’ পালন করেছিল। [২৮][২৯][৩০]

এহসান রফিক নির্যাতন

২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা নির্যাতিত হোন। এতে তার চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [৩১]

কোটা সংস্কার আন্দোলন

এপ্রিলে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ৯ই এপ্রিল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল করে এবং বিভিন্ন সময় আন্দোলকারীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন

শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও অবরোধ করতে চাইলেও দুর্ঘটনার পরদিন থেকেই পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে; পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও সরকার-সমর্থক বলে অভিযুক্ত যুবকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এদিকে ২, ৪, ৫ ও ৬ তারিখ ছাত্রলীগসহ সরকার-সমর্থক বলে অভিযুক্ত যুবকেরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সংবাদ-সংগ্রহে-যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে; সেসব সংঘর্ষে প্রায় দেড় শতাধিক জন আহত হন; পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের প্রতি নির্বিকার থাকলেও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দমাতে লাঠিচার্জ, কাঁদানেগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। প্রায় ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন সাংবাদিক আহত হন।[৩২][৩৩]

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড

বুয়েট তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে তার জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্দেহ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২২ বছর বয়সী ছাত্রকে তার সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আক্রমণ করা হয়েছিল, যা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা বলে মনে হয়েছিল।[৩৪]

গৃহবধু ধর্ষণ

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহ পরাণের মাজার ভ্রমণ করে ফেরার পথে মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়। [৩৫] স্বামীর কাছ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের এই ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়, যাদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। [৩৬] ঘটনার পর পলাতক আসামিদের কয়েকজনকে দ্রুত গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ। [৩৭][৩৮][৩৯] ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রলীগের ভূমিকা নিয়ে সারাদেশে সমালোচনা হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “ধর্ষণ তো দূরের কথা, কেউ নারীর প্রতি বিন্দুমাত্র আড়চোখে তাকানোর সাহস করে, এমন কোনো কর্মী বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নেই।” [৪০]

ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলে ইন্টার্ন চিকিৎসক এএসএম আলী ইমাম শীতলকে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে দেয়। মাথায় আঘাতের ফলে বমি শুরু হলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা জড়িত। শীতল ঢামেক ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক।[৪১][৪২][৪৩][৪৪]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২০ 
  2. "বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
  3. "​​​​​​​ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২১-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫  zero width space character in |শিরোনাম= at position 1 (সাহায্য)
  4. "বাংলাদেশ প্রতিদিন"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৪ 
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "ছাত্রলীগ থেকে বাদ শোভন- রাব্বানী, দায়িত্বে জয়- লেখক"। প্রথম আলো। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯। 
  7. "ভারমুক্ত হলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১১ 
  8. timenewsbd.com। "যেভাবে 'পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ' থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ | timenewsbd.com" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৮ 
  9. "গঠনতন্ত্র" (পিডিএফ)bsl.org.bd। ১৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৮ 
  10. Posted on 26 October 2010 by Najmul (২০১০-১০-২৬)। "Introduction of Bangladesh Chhatra League"। culture of bangladesh। ২০১৪-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৪ 
  11. "বিগত কমিটি সমূহ – বাংলাদেশ ছাত্রলীগ"bsl.org.bd। ১৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০ 
  12. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাইফুর-জাকির"bdnews24। ২০২২-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২০ 
  13. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগের করোনা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২০ 
  14. "ইবি ছাত্রলীগের সচেতনতামূলক কার্যক্রম"Risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০ 
  15. "করোনা প্রতিরোধে মাঠে ছাত্রলীগ"একুশে টিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০ 
  16. "ট্রাক নিয়ে ঘুরে ঘুরে ত্রাণ দিচ্ছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"Bangladesh Pratidin 
  17. "(Watch) Students serving free sehri, iftar"The Daily Star। ৬ মে ২০২০। 
  18. "আড়িয়াল খাঁ বিলে ধান কাটলেন জয়-লেখক | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho 
  19. Developer), Md Ashequl Morsalin Ibne Kamal(Team Leader)| Niloy Saha(Sr Web Developer)| Shohana Afroz(Web Developer)| Jobayer Hossain(Web। "BCL men help Chandpur farmer harvest paddy"unb.com.bd 
  20. "আবরার হত্যার দিনে ঢাবির সেই আবু বকরকে স্মরণ"। যুগান্তর। ৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  21. আসাদুজ্জামান (৭ অক্টোবর ২০১৯)। "আবু বকরকে কেউ খুন করেনি!"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  22. "জুবায়ের হত্যা: 'ছাত্র সংগঠনগুলোর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিণতি'"। বিবিসি বাংলা। ২৪ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  23. "শেষ সময়েও বেপরোয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগ"। আলোকিত বাংলাদেশ। ২০১৩-০৬-২২। ২০১৩-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৪ 
  24. মীর সাব্বির বিবিসি বাংলা। "ধর্ষণচেষ্টা: ছাত্রলীগ নেতা আটক"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৪ 
  25. সোহরাব হাসান (১১ ডিসেম্বর ২০১২)। "একজন বিশ্বজিৎ ও ছাত্রলীগ ভয়ংকর"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৯-০৪-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  26. "বাংলাদেশে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় আরেক ছাত্র গ্রেপ্তার"। Bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৪ 
  27. "বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৪ 
  28. "ধর্ষণের বীভৎসতা বেড়েই চলেছে-নয়া দিগন্ত"। dailynayadiganta.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫ 
  29. "নারীর মর্যাদা রক্ষায় হোক সর্বাত্মক প্রতিরোধ | উপ-সম্পাদকীয় | The Daily Ittefaq"। ২০২০-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২৭ 
  30. "Prothom Alo | Most popular bangla daily newspaper"archive.prothom-alo.com। ২০১৯-১১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২৭ 
  31. "ছাত্রলীগের হামলায় চোখ হারানোর পথে রফিক!"। বাংলা ট্রিবিউন। ৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  32. "Dozens of students injured in Bangladesh road safety protests"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২১ 
  33. France-Presse, Agence। "115 students injured in clashes as Bangladesh teen protests turn violent"Rappler (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২১ 
  34. "Buet student beaten to death: Critical FB post costs him his life?"Daily Star। ৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  35. "এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষিত, সিলেটে তোলপাড়"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১ 
  36. "এমসি কলেজে ধর্ষণ ঘটনায় 'ছাত্রলীগ'র ৬ জনের নামে মামলা"The Daily Star Bangla। ২০২০-০৯-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১ 
  37. "এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার চারজন"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১ 
  38. "এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০২০-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০ 
  39. "এমসি কলেজে ধর্ষণ: সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় যা বলেছেন স্বামী"Dhaka Tribune Bangla। ২০২০-০৯-২৮। ২০২০-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০ 
  40. "নারীর দিকে আড়চোখে তাকাবে, এমন কর্মী ছাত্রলীগে নেই: লেখক"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২০-০৯-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০ 
  41. "ছাত্রলীগের পিটুনিতে বমি করে দেন শীতল, দেয়া হয়নি পানিও!"সময় টিভি। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  42. "বুয়েটের পর ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন, ফজলে রাব্বি হলে নৃশংসতা"দৈনিক যুগান্তর। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  43. "বুয়েটের পর ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন, ফজলে রাব্বি হলে নৃশংসতা"যমুনা টিভি। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  44. "ছাত্রলীগের নির্যাতন থেকে বাঁচতে গ্রামে চলে গেলেন ঢামেক শিক্ষার্থী"দৈনিক মানবকণ্ঠ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ২০২৪ কোপা আমেরিকারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরচন্দ্রবোড়াআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবাংলাদেশতরুণ রাম ফুকনকোপা আমেরিকাউয়েফা ইউরো ২০২৪কাজী নজরুল ইসলামশেখ মুজিবুর রহমানদ্রৌপদী মুর্মুএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)মিয়া খলিফাকল্কি ২৮৯৮ এডিসরকারলালসালু (উপন্যাস)রাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)শাকিব খানভূমি পরিমাপব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলছয় দফা আন্দোলনসিরাজউদ্দৌলাভারতফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাবাংলাদেশ রেলওয়েইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনআবহাওয়াবাংলা ভাষাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরবাংলাদেশের সাপের তালিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধপ্রভিডেন্স স্টেডিয়াম