বার্ট ভগলার

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

আলবার্ট এডওয়ার্ড আর্নেস্ট বার্ট ভগলার (ইংরেজি: Bert Vogler; জন্ম: ২৮ নভেম্বর, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ৯ আগস্ট, ১৯৪৬) কেপ উপনিবেশের কুইন্সটাউনের সোয়ার্টওয়াটার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন।

বার্ট ভগলার
আনুমানিক ১৯১২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে বার্ট ভগলার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
আলবার্ট এডওয়ার্ড আর্নেস্ট ভগলার
জন্ম(১৮৭৬-১১-২৮)২৮ নভেম্বর ১৮৭৬
সোয়ার্টওয়াটার, কুইন্সটাউন, কেপ উপনিবেশ
মৃত্যু৯ আগস্ট ১৯৪৬(1946-08-09) (বয়স ৬৯)
ফোর্ট ন্যাপিয়ার, পিটারমারিৎজবার্গ, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬২)
২ জানুয়ারি ১৯০৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টএফসি
ম্যাচ সংখ্যা১৫৮৩
রানের সংখ্যা৩৪০২৩৭৫
ব্যাটিং গড়১৭.০০২০.২৯
১০০/৫০০/২১/৮
সর্বোচ্চ রান৬৫১০৩
বল করেছে২৭৬৪১৩০৯৭
উইকেট৬৪৩৯৩
বোলিং গড়২২.৭৩১৮.২৭
ইনিংসে ৫ উইকেট৩১
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং৭/৯৪১০/২৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং২০/-৮১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স, কোয়াজুলু-নাটাল ও গটেং দলের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, মিডলসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন বার্ট ভগলার। দলে তিনি মূলতঃ শীর্ষস্থানীয় অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংসহ লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলার পূর্বে লর্ডসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন ও পরবর্তীকালে মিডলসেক্সে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৯০৬ সালে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ পান ও উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে আখ্যায়িত হন। এরপর ইংল্যান্ড সফরে দলের সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে টিপ ফস্টার তাকে বিশ্বের সেরা বোলার হিসেবে উল্লেখ করেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

নাটাল দলের পক্ষে নিচেরসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। ১৯০৪ সালের সফরের পর রেজি সোয়ার্জ ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসলে তার কাছ থেকে গুগলি বোলিং কৌশল শেখেন। ১৯০৫ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলার জন্য ইংল্যান্ডে যান।

১৯০৬-০৭ মৌসুমে কারি কাপে ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষাবলম্বন করেন। গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ৭৯ রানসহ ৬/১২ ও ১০/২৬ লাভ করেন। খেলায় দল ইনিংস ও ৩০১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়।[২] মার্চ, ২০০৯ পর্যন্ত তার ১০/২৬ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[৩] এছাড়াও খেলায় তার ১৬/৩৮ ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে অদ্যাবধি অক্ষত রয়েছে।[৪]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯০৫-০৬ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয়সারির ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে বেশ হিমশিম খেতে হয়। রেজি সোয়ার্জ, জিমি সিনক্লেয়ারটিপ স্নুকের কারণে তিনি খুব কম সুযোগ পেয়েছেন।[৫] শেষদিকে ব্যাটিং করে অপরাজিত ৬২ তোলেন। কেবলমাত্র আসিফ মাসুদ এগারো নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঐ সময়ে শীর্ষ রান তুলেছিলেন।[৬] এছাড়াও, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার কৃতিত্বের অধিকারী।[৭] পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কার জয়ন্ত অমরাসিংহে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এ কৃতিত্ব গড়েন।

প্রস্তাবিত ১৯১২ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে ১৯১১-এর বসন্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। কিন্তু ঐ সফরে তার ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনটিই কার্যকর হয়নি। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং যে-কোন মূল্যে গুগলি বোলারদের মোকাবেলায় সক্ষমতা দেখান।[৮] শেষ দুই টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। ঐ সফরে তিনি তিন টেস্টে মোট ৪ উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে ঐ সফরের পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। ব্যবসায়িক কারণে ব্রিটিশ আইলসে চলে যান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরও স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের ক্লাব দলগুলোয় খেলে।

সম্মাননা

সম্পাদনা

১৯০৮ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ঘোষণা করেছিল।[৯] মৃত্যু পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুরদিককার প্রথিতযশা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. South African bowling, by Tip Foster
  2. "Eastern Province v Griqualand West in 1906/07"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০০৯ 
  3. "Nine or More Wickets in an Innings in First-Class Cricket"CricketArchive। ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০০৯ 
  4. "Most Wickets in a Match for Eastern Province"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০০৯ 
  5. Test Bowling for South Africa v Marylebone Cricket Club in 1905/1906
  6. "Defending a target, debut ducks, and No. 11s top scoring"। ESPN CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৪ 
  7. "Records | Test matches | Batting records | Number eleven top scoring in an innings | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-২২ 
  8. Pardon, Sydney H. (editor); John Wisden's Cricketer's Almanac; Forty-Ninth edition (1912); Part II; p. 509
  9. "Wisden's Five Cricketers of the Year"ESPNcricinfoESPN। ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ কোপা আমেরিকাবিশেষ:অনুসন্ধানবিধানচন্দ্র রায়তুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকোপা আমেরিকাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলদক্ষযজ্ঞকাজী নজরুল ইসলামসিরাজউদ্দৌলামীর জাফর আলী খানবাংলাদেশশেখ মুজিবুর রহমানসাঁওতাল বিদ্রোহফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংসরকারলালসালু (উপন্যাস)বিরাট কোহলিব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলছয় দফা আন্দোলন২০২৪ কোপা আমেরিকা গ্রুপ এবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসিধু কানুএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)উয়েফা ইউরো ২০২৪বাংলা ভাষা আন্দোলনআবহাওয়ারোহিত শর্মারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)চন্দ্রবোড়াকল্কি ২৮৯৮ এডিআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতামিয়া খলিফাপলাশীর যুদ্ধসাইবার অপরাধপহেলা বৈশাখ