শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত ২টি প্রাচীনতম জমিদার বাড়ীর মধ্যে একটি এবং বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। এই জমিদার বাড়িটি দুটি অংশে বিভক্ত। এক অংশকে বলাহয় বড় তরফ, অপর অংশকে বলা হয় ছোট তরফ। এই বাড়িকে নিয়ে ড. মোহাম্মদ আবুল বাশার রচিত “ইতিহাসে শ্রীফলতলী” শিরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী | |
---|---|
ছিবলতলী জমিদার বাড়ী | |
বিকল্প নাম | শ্রীফলতলী এস্টেট |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থান | শ্রীফলতলী, কালিয়াকৈর |
ঠিকানা | কালিয়াকৈর উপজেলা, গাজীপুর জেলা |
শহর | গাজীপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°০৪′০৭″ উত্তর ৯০°১২′৩৫″ পূর্ব / ২৪.০৬৮৬৯৬° উত্তর ৯০.২০৯৬৭১° পূর্ব |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর |
ভূমিমালিক | রহিম নেওয়াজ খান চৌধুরী |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, মাটি |
ইতিহাস
সম্পাদনাবিখ্যাত তালিবাবাদ পরগণার নয় আনা অংশের মালিকানা নিয়ে গঠিত হয় শ্রীফলতলী জমিদার এস্টেট। এই এস্টেটের প্রধান কর্ণধার খোদা নেওয়াজ খানের কনিষ্ঠ পুত্র রহিম নেওয়াজ খান চৌধুরী’র হাত ধরে এই শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ীর গোড়াপত্তন ঘটে। জমিদারী পরিচালনায় তিনি তার নিজের কাচারি বাড়ীর পাশাপাশি আধারিয়া বাড়ীর বাগানবাড়ীকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। তার জমিদারীর পরিসীমা ময়মনসিংহ, নরসিংদী ও সাটুরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পূর্বে তালিবাবাদ পরগনা সাভার হতে পৃথক হয়ে ‘কালিয়াকৈর’ নামে নতুন থানা হিসেবে পরিচিতি পায়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়, সমাজসেবা ও দানশীলতায় তিনি সমসাময়িক অন্যান্য জমিদারদের তুলনায় অগ্রগামী ছিলেন। ৩০শে বৈশাখ ১৩২০ বঙ্গাব্দে এই জমিদার মৃত্যুবরণ করেন। [১]
অবস্থান
সম্পাদনাকালিয়াকৈর বাজার কিংবা বাসস্টপ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে শ্রীফলতলী এলাকায় ঢাকা – টাংগাইল মহাসড়ক এর পাশে এই জমিদার বাড়ীটি অবস্থিত।
চিত্রশালা
সম্পাদনাআরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গাজীপুরে শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী - বিডিটুয়েন্টিফোরটাইমস"। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৮।